পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৃষ্টির সঙ্গে মাডিকেরির রাতদিন

ছবি
 মৌসুমী ব্যানার্জি নানা জায়গায় বেড়ানোর শখ তো ছিলই এতকাল, ইদানীং তার সঙ্গে আরোও একটি শখ অথবা স্বপ্ন  আমার মনের সঙ্গী হয়েছে ।  বেড়ানোর জায়গাটি ভালো লেগে গেলে (সব জায়গাই ভালো লাগে) সেখানে সবুজ প্রকৃতির কোলে , জলের ধারে, অন্ধকার রাতে তারা ঝিকমিক করা কালো আকাশের নীচে একখানি ছোট্ট কুঁড়েঘরের শখ আমাকে পেয়ে বসছে। তা সে জায়গা জঙ্গল হোক,  মরুভূমির বালিয়াড়ি হোক, সমুদ্র সৈকত বা অত্যুচ্চ, শীতল  হিমালয়ই  হোক – নিরিবিলি সরল এক গ্ৰামের জীবন যেন হাতছানি দেয় আমাকে!  মজার কথা হল – নয় নয় করে কল্পনার জগতে   এমন ভালোলাগায় ঘেরা , মায়ায় ভরা বেশ কিছু ছোট্ট কুঁড়েঘরের মালিকও  আমি হয়ে গিয়েছি।  অলস দুপুরে বা মন খারাপের সময় হঠাৎ করে  কোনোও এক কুঁড়েঘরের দাওয়ায় মনে মনে গিয়ে বসে পড়তে মন্দ লাগে না।  মনের আনাচ কানাচের অন্ধকার কোণগুলো খুশীর আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে।  চলেছি মহীশূর থেকে কোডাগু বা কুর্গ জেলার  মাডিকেরির  পথে। সহ্যাদ্রি পূর্ব ঢালের একটি  শৈলশহর।  এসে অবধি  সবুজে ঢাকা পরিচ্ছন্ন শহর মহীশূর বা মইসুরু কে ভালোবেসে ফেলেছি। কালো কুচকুচে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলেছে। হালকা ঠাণ্ডা, জলো শিরশিরে হাওয়া মুখে চোখে  সুখের পরশ বুলিয়ে যাচ্

অব্যক্ত

ছবি
মন্দিরা রায় কানাচ ছুঁয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে অক্ষর  শব্দ ব্রহ্ম তৈরী না করে। এক অক্ষর ছুঁয়ে বসে আছে  অক্ষাংশ   কালের নির্দেশেও স্থানচ্যুত হবে না বলে। নক্ষত্র পতনের সাক্ষী থাকলেও তার হিসাব রাখে না মহাকাশ, শুধু দেখা মেলে উজ্জ্বল ভগ্নাংশে কোনো রাতে। অষ্টবসুর  মন্ত্রনাসভাতে চাঁদ সূর্যের পালা সরগরম হলেও, মহাশূন্যে কাব্য আঁচড় কাটে না। কালপুরুষ নিশ্চল প্রহরায়। তবু আসে সৌর ঝড় কিছু অচঞ্চল, ভাষা ফোটে চাঁদের বুকে কলঙ্কতে, বৃষ্টিতে মাঠে ঘাটে অবিশ্বাসী তাড়নার কলমে। *ছাত্রী, ১৯৯১                         

শূন‍্য

ছবি
পাপিয়া চৌধুরী  প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে 'শূন‍্য' - এর আবিষ্কার  সমগ্র বিশ্বের অতীব গুরুত্বপূর্ণ  বিবর্তনের পরিবর্তনের  সূচনা। 'শূন‍্য' তুমি শুধু তো কোন সংখ্যা নও 'শূন‍্য' তুমি শুধু তো কোন গাণিতিক ফল নও 'শূন‍্য' তোমার নিজস্ব নেই কোন অস্তিত্ব  'শূন‍্য' তবুও তুমি এই জগতের ভারসাম‍্যের বাহক তোমার দানেই তুমি অন্য কে করো অনন্য। 'শূন‍্য' থেকেই শুরু এ জীবনের সোপান  'শূন‍্য' - ই জানতে সাহায্য করে             এই সাংসারিক জগতের মমত্ব মায়ার বন্ধন 'শূন‍্য' - ই তো পারে            আধ‍্যাত্মিক চেতনার বিকাশ ঘটাতে। আমি কে?      'শূন‍্য' তেই তো থাকে উত্তরের দিশা  আমার কর্ম কি?  'শূন‍্য' - ই বলে দেয় কর্মের উদ্দেশ্য। 'শূন‍্য' এক গোলাকার আক‍ৃতির চিহ্ন আর জীবনের গতি যদি মনে করি শূন্যেরই চাকা জীবনের সমাধান তো তাহলে বলতেই পারি - শূন্যেই যে চলার সূত্রপাত, শূন্যেই হয় তার সমাপ্তি  মাঝে রয়ে যায় নানান  যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের তাত্ত্বিকতার আড়ম্বরপূর্ণ জাঁকজমকের বাহার।। *ছাত্রী, ১৯৯৯ 

একটি মেয়ের প্রশ্ন

ছবি
 নুদরত ফিজা মেয়ে হয়েছে শুনছো সবাই নাম তার স্বাক্ষী, প্রশ্ন তাহার অনেক আছে উত্তর দেবে কেউ কী? মেয়ে হয়ে জন্মেছি, দোষটা কি আমার! তাহলে কেন আমার সাথেই এমন অবিচার? বড়ো হয়ে উঠতেই জন্মালো এত বাধ্যবাধকতা, ছেলেদের সঙ্গেও হয় বুঝি এমন সীমাবদ্ধতা! মেয়েদেরই কেন বলা হয় সব কিছু মানাতে  মেয়েরা কী পারেনা কিছু বিষয় এড়াতে? মেয়েদেরই কেন বলা হয় শিক্ষিত হয়ে লাভ কী?  সেইতো শ্বশুরবাড়িতে হাড়ি চুলাই ধরবি!  মেয়েরা কি কোনো বস্তু যে দান করতে হবে, কেন কন্যাদান প্রথা চলছে আজও অবাধে? মেয়েদের জন্য ধার্য বাপেরবাড়ি শ্বশুরবাড়ি, আমি শুধাই নারী ছাড়া কোনো বাড়িই কী বাড়ি!  যে দেশেতে দেবীপুজো  পালিত হয় খুশি মনে, সেই দেশেতেই দেবীর সম্মানে এত দ্বিধা জাগেে মনে!  পুরুতান্ত্রিক সমাজ তাই পুরুষকে বড় করে মনে রেখো হে পুরুষ, তোমায় সেই নারীই গর্ভে ধরে। মেয়েরা কি আদৌ পাবে স্বাধীনতা এ জীবনে? হয়তো না। তাই শুনি সব কিছু মেনে নাও সহজ মনে। এমন প্রশ্ন অনেক আছে, রেখে দিয়েছি মনে উত্তর পাওয়াটা কঠিন অনে্‌ তাই,খুঁজছি মনে মনে। *ছাত্রী, ২০২২                                     

এক বৈচিত্রময় জলাভূমির ছবিগল্প

ছবি
ব্রতী মজুমদার ( চ্যাটার্জী ); স্থিরচিত্রকার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি ছোট্ট জনপদ , নীলগঞ্জ । এই ছোট্ট জনপদটি   ব্যারাকপুর   আর বারাসাতের   মূল   যোগসূত্র। নীলগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে নিজস্ব বাহন , অটো বা টোটো   করে নীলগঞ্জ রোড ধরে চলে যাওয়া যায় বেড়াবেড়িয়া গ্রাম I যাবার রাস্তায়   ভালো করে চারিদিকে তাকালে চোখে পড়বে , সবুজ মাঠ , টলটলে জলে ভরা পুকুর , সম্পন্ন গৃহস্থ বাড়ি , ঘূর্ণিঝড় বিদ্ধস্ত ভাঙা কুটির মৎস্যজীবীর শুকাতে দেওয়া জাল , পেঁয়াজ আর আলু চাষ এর বীজভরা ঘর , বাবুই পাখির বাসা ভরা তালগাছ …. সব পেরিয়ে মাটি র ভাঙা রাস্তা নিয়ে আসে এক অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভরা বৈচিত্রময় জলাভূমি তে , স্থানীয় লোকেরা বলে " বর্তীর বিল " ।    ২০২২ -- বর্তীর বিল এর পরিদৃশ্য   (Borteer Beel, Panorama) সরকারি তথ্য সংগ্রহের কাজ এ বর্তীর বিল এ   ২০১০ সালে ঘোর বর্ষায় , প্রথম হাজির হই।   প্রথম দর্শনে মুগ্ধ হই , ভালোবেসে ফেলি জায়গাটা কে। বারবার যাতায়াত এর দরুন , ওই অঞ্চলের বাসিন্দা দে