পোস্টগুলি

ধ্রুবতারা

ছবি
সুদীপা সরকার আকাশ পানে চেয়ে থাকি, জ্বলছে একটি তারা। নাম না জানা মুক্ত পাখি  উড়ছে বাঁধনহারা। হঠাৎ সেই পুবের হাওয়ার মিষ্টি আকর্ষণে সর্বসুখের অধিকারী একাই এ ভুবনে।  নীল আকাশে ঘুরছে শুধু করছে একাই রাজ, মুখে তার দৈব আলো ভরা আছে লাজ। এই মধুর আবেশে হৃদয় বিকল,শরীর শীতল, তারার কাছে পৌঁছানোর আনন্দে হারিয়েছে তল। *ছাত্রী, ৫ম অর্ধসাম্মানিক 

শৈল শিখর

ছবি
 পাপিয়া চৌধুরী  ইচ্ছে জাগে শরীরের সমস্ত শক্তির নির্যাস একত্রিত করে তোমার কাছে এক দৌড়ে ছুটে চলে যাই। তুষার ধবল চির তারুণ্যে ভরপুর গিরি শৃঙ্গ তুমি তোমার অবর্ণনীয় তুলনা শুধুই তুমি  তোমার পাকদন্ডীর পথ পদে পদে বিপদসংকুলনতা ব্লিজার্ড গিরিখাতের আকর্ষণের মোহের আবদ্ধে মোহান্বানিত। তুমি দুর্গম তুমি স্থির তোমার রূপের ছটায় আমার শরীরে  খেলে যায় বিদ‍্যুৎ তরঙ্গের স্রোত  তাই তো তোমার হাতছানি উপেক্ষা করা অসহনীয়। তুমি ধরণীকে করেছো উর্বর তোমার স্রোত ধারায় নদীই সভ‍্যতা কে প্রাণদান করেছে। তোমার জলপ্রপাতের ধারা বসুন্ধরা কে দিয়েছে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা, তোমাকে আশ্রয় করেই জীবজগৎ সাজিয়েছে তার সাংসারিক বিস্তার। হিমের আলোর শোভায় আলোকিত  স্বর্ণাজ্জ্বল তুমি  তাই তো অভিযাত্রীদের মনের  বাসনা ও তুমি লক্ষ্য ও তুমি। তুমি ও মনোগ্রাহী অপরূপা  ভুবনমোহিনী শৈল শিখর। *ছাত্রী, ১৯৯৯

যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে

ছবি
নাফিসা ইয়াসমিন যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে … খুব সহজ একটা কথা কিন্তু বড্ড কঠিন একটা কাজ। কোনো কিছুই ছাড়তে চাই না আমরা, সব কিছু নিজের করে পাবার এক অদম্য চেষ্টা তে আমরা রিক্ত হই, সিক্ত অশ্রু আমদের অন্তরকে করে নিঃস্ব।  জীবনে একটা সময় আমদের সব ছাড়তে শিখতে হয়, তাতে যেমন আমরা ভালো থাকি তেমনই ভালো হয় আমাদের সাথে যুক্ত মানুষদের। মনে পরে ছোটো বেলায় আমাদের সবার এমন একটা খেলনা বই বা জিনিস ছিলো যা আমরা কোনো ভাবেই কাছ ছাড়া করতাম না, আজ সেই জিনিস গুলো কোথায় তার হদিস কে জানে। যে বন্ধুত্ব মনে হতো কোনো দিন বিচ্ছেদ হতে পারে না, আজ হয়তো সেই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ নেই বছরের পর বছর।  একটা সময় পর আমাদের সব ছেড়ে দিতে হয়। পাখির খাচার দরজাটা খুলে দিতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন একটা মুহূর্ত হলো যেতে দেওয়া। জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন সেই মানুষটা না সেই জিনিসটা প্রাসঙ্গিকতা হারায় আমাদের জীবন থেকে, আমরা যতোই তাকে আঁকড়ে ধরতে চাই না। আমাদের কাঙ্ক্ষিত এমন কিছু কাজ বা কিছু পাবার চাহিদা থাকতে পারে যেটা হয়তো আমাদের জন্য নয়। সেই যতোই আমাদের আন্তরিক চাহিদা হোক না। আমাদের কারোর জীবনই সরলরেখায় চলে না, চড়াই উৎরাই

মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি

ছবি
 সুদেষ্ণা দে প্রিয় দিদি আর বোনেরা , সবাই ভালো আছো / আছেন নিশ্চয়ই।   আজকের গল্প একটা ছোট্ট গ্রাম নিয়ে। শুরু করি , উত্তর সিকিম এর মঙ্গন সাব - ডিভিশন এর মধ্যে একটা গ্রাম হলো Dzongu. এই জায়গায় আসলে একটা ফরেস্ট ব্লক। মঙ্গন থেকে মানতাম সাসপেনশন ব্রিজ পেরিয়ে Dzongu ওঠার রাস্তা। বর্ধিষ্ণু একটা সুন্দর গ্রাম। ততোধিক সুন্দর এর প্রাকৃতিক দৃশ্য।   আমরা সকাল 8.30 টায় শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে মঙ্গন পৌছালাম প্রায় 5 টা। আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টি পড়ছে। আমি তার মধ্যে একটা পাতলা tshirt গায়ে। ঠাণ্ডা টা বেশ জমিয়ে পড়ছে যত সময় এগোচ্ছে। খিদেতে পেট চুঁই চুঁই। তার মধ্যে পারমিট এর জন্য এই দোকান ওই দোকান ঘুরছি। একটা ও খাবারের দোকান খোলা নেই একটা মিষ্টির দোকান বাদে। দুপুরের Maggi  আর চা কবেই হজম হয়ে গেছে। তার মধ্যে খবর পেলাম আমাদের প্রায় 1.30 ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে পারমিট এর জন্য। মাথায় হাত। তার মধ্যে তেড়ে বৃষ্টি শুরু হলো। ঠাণ্ডা খিদে সব মিলিয়ে একাকার অবস্থা। মঙ্গন