পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সবুজ শৈশব সবুজ ভাবনা

১৯/১০/২০১৭ আয়েশা সুলতানা * ১৮নং পার্কসার্কাস রোডের তেতলা বাড়িতে সকাল শুরু হয় পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে তিয়ার প্রশ্নপর্ব দিয়ে । ছোট্ট মেয়ে রোজ নতুন নতুন ভাবে পৃথিবীটাকে আবিষ্কার করছে একটু একটু করে । তার প্রশ্ন ও শুনে বাবা মাও বুঝে উঠতে পারেনা যে এত প্রশ্ন কোথা থেকে আসে ?    ক্লাস টিচারের কাছ থেকে ও নালিশ আসে তিয়া ইজ এ ভেরি টকেটিভ গার্ল হিসাবে । এখানেই শেষ নয় ,   হাতে একটা পেন্সিল নিয়ে তিয়া দেওয়ালকে বলবে , “ কি অঙ্ক হল ! অঙ্ক করতে এতক্ষণ লাগে ?“ টেবিলকে বলবে , “ আবার কথা বলছ – কথা বললে , কান ধরে বের করে দেব । এখনও অঙ্ক হলনা । ওখানে কে ? ও তুমি !”   আসলে তিয়ার নজর তখন পাখাটার দিকে । পাখাটিকে বলবে , “ কাল আসনি কেন ! পেটব্যাথা !   দরখাস্ত করতে বলবে তোমার বাবাকে । বলবে মিস বলেছেন ।   মাঝে মাঝে তিয়ার বাবা পেছন থেকে চুপিচুপি এসে দাঁড়িয়ে এই সব দেখে হো হো করে হেসে ওঠেন । তারপর বাবা মেয়ের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু । স্কুলে সারাদিন কি হয়েছে ? মা কতবার বকা দিয়েছে , আর কি কি দুষ্টুমি করা হয়েছে । এ সক

শিলং স্মৃতি

ছবি
১৯/১০/২০১৭ পারিজাত ঘোষ * বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি দেশে দেশে কত না নগর রাজধানী মানুষের কত কীর্তি, কত নদী গিরি-সিন্ধু-মরু, কতনা অজানা জীব, কত না অপরিচিত তরু অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরকাল। তাই অজানাকে জানার, আর অছেনাকে চেনার জন্য মানুষ বেড়াতে যায়। ভ্রমনের অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে মধুর। বর্তমান যুগে দৈনন্দিন জীবনে বৈচিত্র্যহীন একঘেয়েমিতে মন যখন অবসন্ন হয়ে পড়ে তখনই মানুষ বৈচিত্ত্র্যর আকর্ষণে মনে প্রাণে উৎসাহ মেশাতে ভ্রমণের তাগিদ অনুভব করে। ভ্রমনের মাধ্যমে সংকীর্ণতা ও মানসিক জড়তা দূর হয়। তাই যেকোনো ভ্রমনের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব অপরিসীম। গত বছর I.S.C.   পরীক্ষার পর আমরা শিলং বেড়াতে জাই। তার স্মৃতি আজও আমার স্মৃতিপটে অম্লান হয়ে আছে। সরাইঘাত এক্সপ্রেসে আমরা রওনা হয়েছিলাম। প্রথম যাই গৌহাটি। সেখানে ছিলাম একদিন। কামরূপ কামাক্ষা দর্শন করি। তারপর নৌকো করে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ভ্রমণ করেছি। অপূর্ব তার দৃশ্য। চারিদিকে জল, মাঝখানে ছোট এক্তা দ্বীপের মত। গৌহাটিতে আরও কিছু দেখার আছে। যেমন নবগ্রহ মন্দির, বশিষ্ঠমুনির আশ্রম, মাছের জাদুঘর, বালাজীর মন্দির ইত্যাদি। ওখানকার সবচে