পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এই যে শুনছেন

ছবি
মন্দিরা রায়    "টুপ টাপ ঝরে পড়া লোনা জলের মৃত্যু সাগরে, বেদনা তিলেতিলে ডুবে  মরে, যাতনা কিনারা খোঁজে সাঁতরে." ভাবতে ভাবতে জীবনের পাশে হেঁটে যেতে যেতে এক ঝলক হাওয়ার পরশ সাথে মৃদু কাঁপুনি আমাকে থমকে দিল  "এই যে শুনছেন" পড়ন্ত  রোদ্দুরের সোনালী/ আলোয় দূরে মাইক বাজছে 'কে যেন গো ডেকেছে আমায় '  জড়াজড়ি  করে পা দুটো জড়িয়ে ধরলো দ্বিধা আর দন্দ্ব। হাঁসফাঁস নিঃশ্বাসে উৎকণ্ঠা  এখন তো রেড লাইট এলাকা সীমানা থেকে মুক্তি পেয়েছে, যানবাহনের রাস্তায় লাল- হলুদ   -সবুজ -বাতি  জীবন সুরক্ষার স্তম্ভ আবার ফাঁকা নির্জন রাস্তায় জীবন রক্ষার তাড়নায় একবুক আগুন চোখের  লালপরী - হলুদ - সবুজপরীরা দাঁড়িয়ে থাকে...  সে রকম কেউ? "একটু শুনবেন!" হৃদপিন্ডের ভেতরে ধীরে ধীরে সূর্য টা ডুবছে লাল আবির ছড়িয়ে।  বাঁ দিকে তাকাই  তিন চারটে গাছ একটু অক্সিজেন। ডাইনে তাকাই, চটুল হিন্দি গানের কলিতে রিকশাওয়ালা দ্বিধা আর দন্দ্ব এবার  কৌতূহলকে সঙ্গে নিয়ে  বুকে চেপে বসল। আঁধার থমকে আছে। "এই যে শুনুন না " পরিপূর্ণ নারী কণ্ঠ। লাল আলো জ্বলে উঠল, কেউ কী অসুস্থ? হাসপাতাল কত দূরে? অথবা অনেক কিছুই হতে প

বৈষম্য

ছবি
শরণ্যা সরকার কিছুদিন আগে খবরে একটি ঘটনার কথা পড়ছিলাম, একটি ছেলে তার দিদিকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। কারন হল সেই এক, মান রক্ষার জন্য হত্যা, যাকে বলে 'honour killing'। সত্যি বলতে কি, পুরুষজাতির এই অত্যাচার এবং জোর খাটানোর কথা তো আর নতুন কিছু নয়, রোজকার খবরের কাগজ খুললে প্রত্যেক পাতায় খুন এবং ধর্ষণের খবর থাকবেই থাকবে। কিন্ত বিশেষ করে এই খবরটি আমায় খুবই ভাবিয়েছিল, নৃশংসতার জন্য নয়, কিন্ত যাদের এই দেশের ভবিষ্যৎ মনে করা হয়, এই তরুণ প্রজন্ম, যাদের উপর সকলের অগাধ বিশ্বাস এবং ভরসা, সেই একটি তরুণ আজকের দিনে দাড়িয়ে যে এরকম একটি বিকৃত মানসিকতা বহন করে চলছে, সেটা যেন আরও ভয়ঙ্কর। এতো মাত্র একটা, এরকম যে আরও কত আছে আমাদের কোনও ধারণা নেই। আমাদের এই এক অদ্ভুত নারীবিদ্বেষী সমাজ। এখানে ঘটা করে নারীর আরাধনা হয়, আবার ডাইনি অপবাদে নারীদের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যমের দুয়ারে পরল কাঁটা বলে ভাইদের ফোঁটা দেওয়া হয় তাদের মঙ্গল কামনা করে, কিন্তু পরে কখনো তাদের আচরণ দেখলে মনে প্রশ্ন জাগে। পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করলে বাড়ির সন্মানহানী, আবার বাড়ির মতে বিয়ে করলে অন্য পুরুষের রাগ। এখানে আমাদের প্রত্যেকট

জলদাপাড়ায় একদিন

ছবি
ডঃ শারদা মণ্ডল স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পরিবেশ ভূগোল পড়াতে গিয়ে, জলদাপাড়া অভয়ারণ‍্যের ওপরে ডিসার্টেশন করিয়েছি, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এই বিষয়ে যৌথভাবে সেমিনারও করেছি। কিন্তু মনের মধ্যে একটা খুঁত খুঁতুনি ছিল, কারণ এতদিন জলদাপাড়া আমি নিজের চোখে দেখিনি। তাই এবার যখন পরিবারের সাথে জলদাপাড়া আসার কথা হল তখন মনে বেশ আনন্দ হয়েছিল সেটা অস্বীকার করতে পারছিনা। জলদাপাড়া সরকারি ট্যুরিস্ট লজে পৌঁছলাম বেশ বেলায়। সামনে সাইনবোর্ডে লেখা আছে “Experience Bengal, The Sweetest Part of India”। ব্যবস্থাপনা, পরিষেবা, বাগান, ঘর সব কিছু প্রথম দর্শনেই বেশ ভালো লাগল। হাতে বেশি তো দিন নেই। তাই পৌঁছেই কর্তামশাই হাতি সাফারির টিকিটের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন। কপালজোর ছিল, তাই পরের দিনের টিকিট পাওয়া গেল। তবে আমরা গিয়েছিলাম বেশ কিছু বছর আগে। এখন শুনেছি অনলাইনে বুকিং করে যেতে হয়। ওখানে গিয়ে আর টিকিট কাটা যায়না। তবে হাতি সাফারির দক্ষিণা অন্য পরিষেবার তুলনায় বেশ চড়া আর খুব ভোরে উঠে প্রস্তুত হতে হয়। বাইরে গিয়ে বিশ্রাম করবো, হাত পা ছড়িয়ে দেরী করে উঠবো ভাবলে ঐ অভিজ্ঞতার আশা ছাড়তে হবে। কর্তামশাই টিকিট হাতে লজে ফিরে, ছোটো সদস‍্যদের খুব ভাল

আনন্দ

ছবি
  পাপিয়া চৌধুরী   আনন্দ - কথার উচ্চারণ যখন কর্ণগহ্বরে প্রবেশ করে তখনই মনে খুশির বিচ্ছুরণের ছটায় পেখম খেলে যায়। মন দিগন্ত বিস্তৃত লালিমায় পাহাড়ে সূর্যোদয়ের আভায় রাঙিয়ে ওঠে।   কিভাবে আনন্দের উৎস শরীরের প্রতিটি লোমকূপে শিহরণ    জাগায় তা আসল নয় - আনন্দ মনকে নৃত্যরত অনুভূতি দান করে সুখ সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায় এই তো পরমা প্রকৃতি থেকে পরম পাওয়া।   চলমান জটিল ঘূর্ণাবর্তের সাংসারিক কর্মজগতের নিম্নচাপে আনন্দ আজ বড়ই সঙ্গীহীন একা অসহায়, হাজার লক্ষ কোটি    টাকার বিনিময়েও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষের চাহিদা আর লোভের লালসার লোলুপতায় আনন্দ নিজেকে শামুকের খোলসের মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছে। প্রবল সামুদ্রিক জলস্তরের চাপের ক‍‍ষ্ট সহ‍্য করে ঝিনুকের ভিতর যেমন মুক্তো তৈরি হয়, তেমনি আনন্দও তৈরি করে নিতে হয়, নিজেকেই খুঁজে পথ বার করতে হয়, আনন্দের প্রবাহিত ধারাকে সদা বহমান করার জন্য।   নুড়ি পাথর কুড়ানোর মতই আনন্দ কুড়িয়ে নিতে শিখতে হয় আয়ত্ত করতে হয়, সমস্ত সুযোগের সদব‍্যবহার করে আনন্দের জলন্ত যৌবনের উদ্দামতাকে অনুভব করতে হয় আত্মার সঙ্গে একাত্ম হয়ে, তবেই তো জীবন হয়ে উঠবে কলাপীর চিত্রবিচিত্র বর্ণময় রঙিন বর্ণিল আনন্দময়।

বৃষ্টি

ছবি
  নুদরত   ফিজা বৃষ্টি   মানে   কারোর   কাছে   মন   মাতানো   আনন্দ,  কারোর   কাছে   বৃষ্টি   মানে   দুর্ভাগার   কান্ড।   বৃষ্টি   মানে   কারোর   কাছে   প্রাণে নতুন ছন্দ, কারোর   কাছে   বৃষ্টি   মানে    প্রকৃতির   সাথে   দন্দ্ব।   বৃষ্টি   মানে   শুধুমাত্র  প্রাণ   জুড়ানো   গান, আবার   বৃষ্টি   মানেই   কারোরকাছেই  বাঁচাও   আপন প্রাণ।   বৃষ্টি   মানেই   স্বইচ্ছায়  শরীর   মন   ভিজিয়ে   দেওয়া বৃষ্টি   মানে   অজান্তেই  সমস্ত   কিছু   ভাসিয়ে   দেওয়া।   বৃষ্টি   মানে   কারোর   কাছে  খুব  romantic weather কারোর   কাছে   বৃষ্টি   মানেই  দুঃস্বপ্নের   সমাহার।   বৃষ্টির   কথা   মনে   পড়লেই  মুচকি   হাসি   আসে, অনেকের   বৃষ্টি   মনে   পড়লে  চোখ   ভরে   আসে।     বৃষ্টি   মানেই   নানা   রকম  সুন্দর   রঙের   বাহার, আবার   সেই   বৃষ্টিতেই   কেউ  পায়না   নিজেদের   আহার।   কারোর   কাছে   বৃষ্টি   মানেই    খিচুড়ি   পকোড়ার   স্বাদ আবার   কারোর   কাছে   বৃষ্টি  মানেই   মনের   অবসাদ। *ছাত্রী, সাম্মানিক পঞ্চম অর্ধবর্ষ                                       

প্রকৃতির অভিশাপ

ছবি
  নুদরত   ফিজা   সারা   বিশ্বে   কীরকম   একটা   পরিবর্তন   হল কেউ   কী   জানে   এমন   পরিবর্তন   কেন   হল! পৃথিবীতে   ভয়ংকর   এক   দস্যু   এল পৃথিবীটাকে   অসুস্থ   করে   চলে   গেল।   এই   দস্যুর   উপসর্গ   নানারকম কখনো   হাঁচি,   কখনো   কাশি- কী   করে   বোঝাবো   কীরকম। এইসব   উপসর্গ   হওয়ার   ফলে অনেক   মানুষের   মরণ   হল; কেউ   বিছানায়   কেউ   বা   মাঠে কেউ   বা   শ্মশানে   পড়ে   রইল।   স্কুল   কলেজ   সব   করে   দিল   বন্ধ ছাত্রছাত্রীরা   এমন   ছুটি   হয়ত   পায়নি   কখনো।   বই   বদলালো    PDF  এ কক্ষ   বদলালো  Google Classroom  এ, পরীক্ষা   হল  online  এ স্কুল   ছিল   শীতঘুমে।   AC, Refrigerator  ব্যবহারের   ফলে হল  CO 2   এর   বৃদ্ধি, শেষ   পরিস্থিতিতে   দেখা   দিল     O 2   এর   ঘাটতি।   প্রকৃতিকে   আমরা   নোংরা   করেছি Plastic  দিয়ে   মুড়ে, তাই   মরণের   পরে   যেতে   হল আমাদের  plastic  দিয়ে   মুড়ে।   কোথায়   গেল   অর্থ, কোথায়   গেল  power! সবকিছুই   তো   মানছে   হার এই   পরিস্থিতিতে   বারবার।     ধর্ম   নিয়ে   জ্বলছে   সবাই   অমান্য   সব   বিনতি, কোন   জাতিটা   বেঁচে   গেল ? বদল

ওরা ভালো আছে কি

ছবি
 নবান্বিতা মিত্র  ' পৃথিবীটা   হারিয়ে   যাবে ৫০০   বছর   পরে হারিয়ে   যাবে   অনেক   প্রাণী তোমার   অত্যাচারে ' --  কমলবিকাশ   বন্দ্যোপাধ্যায়    'একে রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর' -- কথাটি নিছক একটি বাংলা প্রবাদ হলেও আজ সমগ্র ভারতবাসী তো বটেই বিশ্ববাসীও এই কথাটির তাৎপর্যতা যে কতখানি তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। একে তো করোনা অতিমারি প্রাদুর্ভাব অন্যদিকে বারবার প্রকৃতির মারন প্রত্যাঘাত আজ ভারতবাসীকে 'Work from Home'-এর মতো শারীরিক শান্তি দিলেও মানসিক শান্তি কেড়ে নিয়েছে। তাই অতি সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা যদি বলতেই হয় তাহলে সর্বপ্রথম 'তাউটে' ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করতেই হয়। অতি ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড় 'Tauktae' (বর্মী উচ্চারণ) গঠিত হয় ১৪ ই মে, ২০২১ সালে। 'Tauktae' নামটি মায়ানমারের দেওয়া। এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি। আরব সাগরের উপকূল অঞ্চলে এই ঝড় আছড়ে পড়ে। ভারতের দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া যদি আরও অতি

নতুন ঠিকানা

ছবি
  মধুশ্রী   ঘোষ আজ সকাল থেকে খুব ব্যস্ত অনুরাধা। জলখাবার এ কি মেনু থাকবে, লাঞ্চ বা ডিনার এ বা কি রান্না করবে, কোন্ কোন্ খাবার অর্কপ্রভ খেতে ভালবাসে সেগুলো অনেক দিন আগে থেকেই মনে করে রেখেছিলেন অনুরাধা। ঠিকে কাজের লোক পুষ্প কে দিয়ে বাজার করিয়ে রেখেছিলেন দুদিন আগে থেকেই। বাজার এ যাবার আগে পুষ্প কে বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ভাল জিনিস আনার কথা, একটু বেশি দাম হলেও যেন জিনিস গুলো নিয়েই বাড়ি ফেরে। বাজার ভালোই করেছিল পুষ্প। অনুরাধার বেশ পছন্দও হয়ছে সব কিছু। বিকেলে বাড়ি যাবার আগে পুষ্প যা যা রান্না হবে সব কেটে, গুছিয়ে রেখে দিয়েছে ফ্রিজ এ। আজ অনুরাধার ছেলে অর্কপ্রভ আসছে আমেরিকা থেকে, সঙ্গে পুএবধৃ সৃজিতা ও এক মাএ নাতনি তিতলি ও আসছে। অনুরাধা সান্যালর বাড়িটা নিউ আলিপুর অঞ্চলে ছিমছাম, দোতলা বাড়ি। বিয়ের পর অনুরাধা এই বাড়িতেই উঠেছিলেন। তখন বাড়িতে কতো লোক শশুড় শাশুড়ি ও দুই ননদ, অনুরাধা — স্বামী পরিতোষ। শাশুড়ি র মুখঝামটা খেলেও ননদদের সঙ্গে তার খুব ভাব ছিল, পরিতোষ ও ছিলেন মাটির মানুষ। দিন গুলো খুব সুখেই কাটছিল। বিয়ের দুই বছর পর অর্কপ্রভ জন্মাল। ননদের ও একে একে বিয়ে হয়ে গেল। শশুড়, শাশুড়ি দুজনেই

সোনালী জয়সলমীরের সোনালী কথা

ছবি
মৌসুমী   ব্যানার্জী দিল্লী থেকে জয়সলমীরের যাত্রা শুরু হয়েছিল আকাশপথে, পরিষ্কার ঝলমলে আবহাওয়ার এক দুপুরে।বিমানে জানলার পাশের আসনে বসে দেখলাম ভারতবর্ষের রাজধানী শহরের দিগন্ত জুড়ে নগরসভ্যতার জয়গাথা সদর্পে ঘোষিত হচ্ছে। কিছু পরেই ফাঁকা জমি, কিছু জল আর সবুজের আভাস।এরপর খুব দ্রুত জানলার পাশে আকাশে ঝলমলে নীল রঙ আর অনেক নীচে ধূ ধূ করছে রুক্ষ ধূসর প্রান্তর ।মাঝেমধ্যে কিছু সবুজের ছোঁওয়া। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল বাদামী পাহাড়ের সারি।পৃথিবীর ইতিহাসে প্রাচীনতম, আরাবল্লী পর্বত।দুই পাহাড়শ্রেণীর মাঝে কখনও সামান্য সবুজ, কখনও বা শুধুই ধূসর হলুদ রঙ, অর্থাৎ বালি –ছোট্ট জানলাটি দিয়ে যতদূর চোখ যায় এই দৃশ্যই শুধু। আমার কাছে এই দৃশ্য নতুনই ছিল।কিছু পরে একটানা উঁচু নীচু সোনালী রঙা জমি জানিয়ে দিল বিমান থর মরুভূমির অংশ দিয়েই চলেছে।উৎসাহের আতিশয্যে বিমানসেবিকাকে প্রশ্ন করে জানা গেল আধঘন্টার মধ্যেই জয়সলমীর পৌঁছে যাব আমরা।তার মানে এ সত্যিই বালিয়াড়ি! উত্তেজনায় মন ভরে উঠছে তখন।বিমান অবতরণের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার ঘোষণা হতেই দ্রুত চোখের সামনে সোনালী রঙা শহরের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট আর অবশ্যই 'সোনার কে

বন্দি জীবন দশা

ছবি
 মৌসুমি মন্ডল  সমাজের   চেহারা   হয়েছে   আজ   অন্যরূপ , মানুষ   তার   বেশি   সময়   দিয়েছে   ইন্টারনেটে   ডুব । সম্পর্ক   গুলো   আজ   বন্দি   কারাগারে ,, মান - অভিমান , হাসি - কান্না   সব ‌  ফোনেই   চলে   ।। শিশু গুলো ও   বুঝেছে   বেশ ! মোবাইলেই   তাদের   শৈশবটা   শেষ । প্রিয়   মানুষগুলোর   সাথে   দেখা   হয়না   অনেক   মাস , বাইরে   বেরোলেই   যে   ঘটে   যায়   সর্বনাশ ।। জীবনটা   যে   কীভাবে   কাটছে   কী   করে   তা   বলি , নতুনভাবে   পথ   চলতে   হচ্ছে   দেরি । ভাবছি   কবে   কাটবে   বন্দিদশা   এ   জীবন   থেকে , আবার   কবে   এক   হবো   সবাই   আনন্দে   উৎসবে । যতোই   দিন   যায়   শুধু   দুঃসংবাদই   আসে , স্তব্ধ   হচ্ছে   গরীবের   জীবন   লকডাউনের   বশে । সমস্যা   যতো   বাড়ে   ততো   বাড়ে  যন্ত্রণা, তবুও   সবাই   দিয়ে   চলেছি   নিজেদের   সান্ত্বনা । মানুষ   বড্ড   অসহায়   আজ   প্রকৃতির   কাছে , তবুও   আশা   রাখি   সব   হবে   ঠিক   সময়েরই   সাথে । মনে   রাখো   সাহস , থাকো   মানুষের   পাশে ,, চলে   যাবে   এই   মহামারী   ঠিক   নিরুদ্দেশে ।। *ছাত্রী, ২০২১

এগিয়ে চলো

ছবি
  মধুশ্রী   ঘোষ নারী   তুমি   এগিয়ে   চলো থামবে   না । যদি   কোনোদিন   ঠোক্কর   খাও তখনও   থেমে   যেও   না । তোমার   ভবিষ্যতের    স্বপ্ন ,  বুকের   আগুন নিভতে   দিও   না । তোমার   এগিয়ে   চলার   রাস্তা  , তোমার    এগিয়ে   চলার   সিঁড়ি নারী   তুমি   ভেঙে   গুড়িয়ে   যেতে   দিও   না । শুধু    একটাই   দিক ,  একটাই   নির্দেশ , শুধু    একটাই   অভিমান   একটাই   ইচ্ছে ভাঙতে   দিওনা  ,  দৃঢ়   চেতা   হও   তুমি । এগিয়ে    চলো   তুমি  ,  আরো   অনেক   দূর । নারী   তোমার   চোখের    জল   এক মূল্যবান   রত্ন । তুচ্ছ   আঘাতে   তা   নষ্ট   করো   না  , মনে   শুধু   সাহস   রেখো ,  ভয়   পেয়ো   না । তোমার   রাস্তা    এদিকে একেবারে   সোজা   পথে , নতুন   প্রজন্মকে   পথ   দেখিয়ে আরো   এগিয়ে   চলো   তুমি  , আরো   অনেক   দূর   ।   *ছাত্রী, সাম্মানিক তৃতীয় অর্ধবর্ষ