আনন্দ
পাপিয়া চৌধুরী
মন দিগন্ত বিস্তৃত লালিমায় পাহাড়ে সূর্যোদয়ের আভায় রাঙিয়ে ওঠে।
আনন্দ মনকে নৃত্যরত অনুভূতি দান করে
সুখ সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
এই তো পরমা প্রকৃতি থেকে পরম পাওয়া।
আনন্দ আজ বড়ই সঙ্গীহীন একা অসহায়,
হাজার লক্ষ কোটি টাকার বিনিময়েও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
মানুষের চাহিদা আর লোভের লালসার লোলুপতায়
আনন্দ নিজেকে শামুকের খোলসের মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছে।
প্রবল সামুদ্রিক জলস্তরের চাপের কষ্ট সহ্য করে ঝিনুকের ভিতর যেমন মুক্তো তৈরি হয়,
তেমনি আনন্দও তৈরি করে নিতে হয়,
নিজেকেই খুঁজে পথ বার করতে হয়,
আনন্দের প্রবাহিত ধারাকে সদা বহমান করার জন্য।
সমস্ত সুযোগের সদব্যবহার করে আনন্দের জলন্ত যৌবনের উদ্দামতাকে অনুভব করতে হয় আত্মার সঙ্গে একাত্ম হয়ে,
তবেই তো জীবন হয়ে উঠবে কলাপীর চিত্রবিচিত্র বর্ণময় রঙিন বর্ণিল আনন্দময়।
*ছাত্রী, ১৯৯৯
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন