এক বৈচিত্রময় জলাভূমির ছবিগল্প
ব্রতী মজুমদার (চ্যাটার্জী); স্থিরচিত্রকার
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি ছোট্ট জনপদ , নীলগঞ্জ। এই ছোট্ট জনপদটি ব্যারাকপুর আর বারাসাতের মূল যোগসূত্র। নীলগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে নিজস্ব বাহন, অটো বা টোটো করে নীলগঞ্জ রোড ধরে চলে যাওয়া যায় বেড়াবেড়িয়া গ্রামI যাবাররাস্তায় ভালো করে চারিদিকে তাকালে চোখে পড়বে, সবুজ মাঠ , টলটলে জলে ভরা পুকুর, সম্পন্ন গৃহস্থ বাড়ি, ঘূর্ণিঝড় বিদ্ধস্ত ভাঙা কুটিরমৎস্যজীবীরশুকাতে দেওয়া জাল , পেঁয়াজ আর আলু চাষ এর বীজভরা ঘর, বাবুই পাখির বাসা ভরা তালগাছ …. সব পেরিয়ে মাটি র ভাঙারাস্তা নিয়ে আসেএক অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভরা বৈচিত্রময় জলাভূমি তে, স্থানীয় লোকেরা বলে "বর্তীর বিল "।
![]() |
২০২২-- বর্তীর বিল এর পরিদৃশ্য (Borteer Beel, Panorama) |
সরকারি তথ্য সংগ্রহের কাজ এ বর্তীর বিল এ ২০১০ সালে ঘোর বর্ষায় , প্রথম হাজির হই। প্রথম দর্শনে মুগ্ধ হই, ভালোবেসে ফেলি জায়গাটা কে।
বারবার যাতায়াত এর দরুন, ওই অঞ্চলের বাসিন্দা দের সাথে পরিচয় নিবিড় হয়।পরিচয় হয় মৎস্যজীবী ও কৃষক ইন্দ্রর পরিবার এর সাথে।তথ্য সংগ্রহের কাজ এর সময় প্রচুর স্থিরচিত্র নেওয়া হয়, রিপোর্টিং এর সময় নিজের তোলা অপূর্ব স্থিরচিত্র গুলি দেখে, ঠিক করি, একটি তথ্য চিত্রতৈরী করার আর তার সাথে ছবিগল্প । সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা শুরু করি।
২০১৫ সাল এ জানুয়ারী তে পুনরায় ইন্দ্রনাথ এর সাথে যোগাযোগ করি, আর আমার পরিকল্পনা তাকে বিস্তারিত জানাই। প্রথম এ ঠিক করি জীববৈচিত্র র ওপর স্থির চিত্র নেবো। সেই মতো ইন্দ্র আলাপ করিয়ে দেয় তার বিস্বস্ত বন্ধু রমেশ (অনুরোধে নাম পরিবর্তিত) এর সাথে। পরিকল্পনা শুনে সে অনুরোধ করে শুধুমাত্র জীব বৈচিত্র কেন, জলাভূমির দরিদ্র মানুষের জীবন সংগ্রাম ও জীবিকা কে যেন তুলে ধরি স্থির চিত্র র মাধ্যমে। ২০১৭ সাল এ যাবতীয় তথ্য, পরিকল্পনা স্থির করে হাজির হলাম বর্তীর বিল এ আর একজন স্থির স্থিরচিত্রকার ও বায়োলজিস্ট কে নিয়ে, ঠিক বর্ষার প্রারম্ভে। শুরু করলাম ছবিগল্পের কাজ I পর্ব -১ ২০১৭ জুলাই - আগস্ট পথ-প্রদর্শক ইন্দ্র ও নৌকা চালক রমেশ আমাদের নিয়ে চললো বর্তীর বিল এর গহীন গভীরে, শুরু করলাম বিল কে ঘিরে বেঁচে থাকা মানুষের সংগ্রাম এর চিত্র গ্রহণ করতে। চারিদিকে শাপলা আর লাল পদ্ম র সমাহার, আর তার মাঝে শাপলা সংগ্রহকারী মহিলা ও পুরুষ দের কর্মকান্ড , মুখে অনাবিল হাসি আর কর্মব্যস্ততার মাঝে তাদের প্রতিটা মুহূর্ত ফ্রেমেবন্দি হল I আলাপ হলো কৃষক রসিক পাল এর সাথে, আমাদের অনুরোধ এ সে অনুমতি দিলো তার, আর তার সহকর্মী দের কর্মকান্ড কে ফ্রেমেবন্দি করতে। তার প্রতিবিম্ব সহ স্থিরচিত্র পরে তাকে আমরা উপহার দেই। কৃষক রসিক পাল ও তার প্রতিবিম্ব নৌকা র মুখ ঘুরিয়ে পানা র মধ্যে প্রবেশ করতেই, সামনে উদয় হল অপূর্ব সুন্দরী জলময়ূর। প্রথম দর্শন এ খানিকটা বিরক্ত হলেও পরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে নিজেকে আমাদের ফ্রেমেবন্দি হতে সাহায্য করলো। আমার সঙ্গী পক্ষীবিশারদ আলোকচিত্রী ধৈর্যের পরিচয় দিলেন, ও জলময়ূর এর অনেক আলোকচিত্র নিলেন। নিঃশব্দে , বসে ছবি তুলছি, জল আলোড়ন করে সামনে এসে হাজির হল শামুকখোল। বিরক্ত দৃষ্টি নিয়ে পরিবার সমেত আমাদের উপেক্ষা করে নিজ কর্মে ব্যস্ত হল। পুরাতন জাল এর ওপর বসে আওয়াজ দিলো হলদে মাথা খঞ্জনা, পালক ফুলিয়ে বসে বিশ্রামরত। দেখা মেলে মেঠো আবাবিল এর দল, জলাভূমি র বেশিরভাগ অঞ্চল এরা দাপিয়ে বেড়ায়I জলময়ূর (Pheasant tailed Jacana) মেঠো আবাবিল (Barn swallow) এর দল দাপিয়ে বেড়ায় বিল এ মৌসুমী বায়ু র দাপট এ ঘোর বর্ষা শুরু হলে, সর্পকুল এর দৌরাত্যে ও মেঘে ঢাকা আকাশ এর কল্যানে, বিল এ যাওয়া আর ছবি তোলা বন্ধ রাখতে হল। ইন্দ্র আর রমেশ ব্যস্ত হয়ে পরে পাটচাষ এ। এক মাসে অনেক তথ্য ও চিত্র সংগ্রহ হয়ে গেলে, আমরা সেই বছর এর মতো বিল কে বিদায় জানালাম। ২০১৮ জুলাই –আগস্ট ২০১৮ সাল এ পুনরায় ইন্দ্র র আহ্বানে চলে এলাম বর্তীর বিলে। আকাশনীল জলরাশি, পাটসংগ্রহকারী দের কর্মযজ্ঞ ও তার সাথে রঙ্গীন মুনিয়া ও লাল শালুক আমাদের দুই হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানালো। ইন্দ্র ও রমেশ এই বার আমাদের নিয়ে চললো বিল এর অন্য দিকে। বর্ষার জল এ ষ্ফীত টইটুম্বুর জল আর নীল আকাশ ও মেঘ এর প্রতিবিম্ব মোহময়ী ভূদৃশ্য (Landscape) বর্ষার জল এ ষ্ফীত টইটুম্বুর টলটলে জল আর নীল আকাশ ও মেঘ এর প্রতিবিম্ব মোহময়ী ভূদৃশ্য প্রতিবেদন করল। ল্যান্ডস্কেপ ফোটোগ্রাফি র জন্য আদর্শ। বিল এর লাগোয়া আঁকাবাঁকা খাল ধরে সম্পূর্ণ অপরিচিত ও অনাবিস্কৃত জায়গায় পৌছালাম। ল্যান্ডস্কেপ এর সাথে সাথে ফ্রেমেবন্দি হল পাটচাষীরা। নৌকা করে পাট বহন করা হয় (মহিলাদের কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা) পাট পচন প্রক্রিয়া ও মহিলাদের কর্মকান্ডে অগ্রণী ভূমিকা দেখে ভালোই লাগল। আরও গহীন এ যেতে যেতে হটাৎ ইন্দ্র মুখে আঙ্গুল দিয়ে একজোড়া বাঁশপাতি কে বিশ্রাম করতে দেখালো। ফ্রেমেবন্দি হবার ইচ্ছা তাদের ছিল না বোধ হয়। একজোড়া বাঁশপাতি (Green Bee eater) সুন্দরী শিলাফিদ্দা (Siberian Stonechat) নৌকা এগোলে সামনে চোখে পড়লো একটি সুন্দরী শিলাফিদ্দা র। কমলা পালকগুলি সকালের মোহময়ী আলোয় ঝিলক দিলো। পাট এর সারি র মাঝখান দিয়ে মোড় ঘুরতেই আশ্চর্য ভাবে দেখা মিললো এক নিঃসঙ্গ “করুন-পাপিয়া”র। অপেক্ষায় আছে কখন ধান বোনা সেরে চাষি রা ঘরে ফিরলে সে হানা দেবে ধান ক্ষেতে। দেখা মিললো লং টেল শ্রা-ইক এর আর অসংখ্য মাছরাঙা র ঝটাপটি। “করুন পাপিয়া” (Plaintive Cuckoo) ফুটকি (Plain Prinia) জলাভূমি র আসে পIশে দেখা মিললো ফুটকি বা প্রীনিয়া র। বিকেলের মায়াবী আলোয় রমেশ মাঝি র রঙ্গীন নৌকা ভেসে চলে তার প্রতিবিম্ব নিয়ে। ভয় পেয়ে এক ঝাঁক আবাবিল উড়ে চলে যায়। বিকেলের মায়াবী আলোয় জলাভূমি হয়ে ওঠে মোহময়ী পর্ব -২ ২০১৯ আগস্ট-সেপ্টেম্বর কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়ার জন্য ২০১৮ সাল এ সেপ্টেম্বর মাসে আর যাওয়া হয়ে ওঠে নি। ইন্দ্র আর রমেশ এর পরিবার এর সাথে বরাবর যোগাযোগ ও কুশল বিনিময় ছিল I ২০১৯ সাল এর আগস্ট মাসে ভরা বর্ষায় পুনরায় হাজির হলাম। এবার লক্ষ্য বিল এর মৎস্যজীবী দের অঞ্চলে পাড়ি দেওয়া। কিছুটা নৌকা আর কিছুটা হাঁটাপথে ইন্দ্র নিয়ে গেলো আমাদের মৎস্যজীবীদের পাড়ায়, ফ্রেমেবন্দি করলাম তাদের জীবনযাত্রা। ভোরের কর্মকান্ড সেরে তারা বাড়ি ফিরছে , কারোর গলুই তে মাছ আবার কারোর শাপলা আর মাছ। ফ্রেমেবন্দি হতে আপত্তি করলো না রসিক মিঞা , অভ্যর্থনা জানিয়ে খোঁজ দিলো মুনিয়া র বাসস্থানেরI মৎস্যজীবী র নৌকা রসিক মিঞা তখন ব্যস্ত শাপলা আর কচু শাক এর সম্ভার নিয়ে পাট পচন প্রক্রিয়া নিয়ে। তার কুশল সংবাদ নিয়ে হাজির হলাম মুনিয়া র আস্তানায়। অসংখ্য মুনিয়া আর বাবুই পাখির কলকাকলিতে পরিপূর্ণ অনাঘ্রাত বর্তীর বিল এর গহীন গভীর তখন পরিপূর্ণ। বাবুই পাখি র বাসা (Baya Weaver) শ্যামসুন্দর (Tri-colored Munia) শ্যামসুন্দর এর সাথে লুকোচুরি খেলতে কেটে গেলো অনেক সময়। অপূর্ব তার বর্ণ অপূর্ব তার মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠ। সবুজ ঘাস এর মাঝে কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে সে ফ্রেম বন্দি হলো। মৌসুমী বায়ুর দাপট কমতে পুনরায় সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে হাজির হলাম বিলে। প্রকৃতি তার রং এর ডালি নিয়ে হাজির ছিল, কিন্তু বদলে গেছিলো জলাভূমির শান্ত পরিবেশ আর মানুষের পেশা। পাটচাষী রং লাগIলো তার ডিঙিনৌকায়, হয়ে ওঠে পাটনী, আসে প্রকৃতিপ্রেমিক স্থিরচিত্রকার, আসে নৌকাবিলাসীর দল, আসে প্রেমিক প্রেমিকা, আসে পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ। পাটচাষি হয় পাটনী (প্রী- ওয়েডিং ফটোশুট) আমাদের বিস্বস্ত পথপ্রদর্শক ইন্দ্র র নৌকা ছেড়ে বাড়ি ফিরলাম। ২০২২ …… ২০২০ - ২১ সাল এ মহামারী গ্রাস করলে, জলাভূমি তে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু যোগাযোগ ছিল সবার সাথে। না, মহামারী পৃথিবী কে গ্রাস করলেও স্পর্শ করেনি বিল এর গ্রাম্য জীবন কে। ২০২২ সাল এ বর্ষা-শেষে, শেষ বার এর মতো হাজির হলাম জলাভূমি তে। ইন্দ্র জানালো যে এই দুই বৎসরকাল এই বিল সর্বজনবিদিত হয়ে গেছে ফেইসবুক (Face book) এর কল্যানে। দোকানপাট, খাবার জায়গার সংস্থান বেড়েছে, বেড়েছে নব্য শখ; প্রী ওয়েডিং ফোটোগ্রাফি র দাপট , বেড়েছে স্থিরচিত্রকার দের আনাগোনা, বেড়েছে চড়ুইভাতির সংখ্যা আর বেড়েছে নৌকার সংখ্যাও।পাতি সরালি (Lesser Whistling Duck) পথপ্রদর্শক ইন্দ্র এই বার নিয়ে চললো জলাভূমি র ওপর দিকে, যা সাহাপুর বলে পরিচিত। পক্ষীবিশারদ বন্ধু একে একে চেনাতে লাগলো অপূর্ব নাম না জানা পাখি। নৌকা তে উঠে সবে মোড় ঘুরেছি, সামনে দেখা মিললো একজোড়া পাতি সরালি দম্পতি র। টলটলে জলে মুখ দেখে, তারা ব্যস্ত ছিল নিজেদের সৌন্দর্যচর্চায়। ইন্দ্র জানালো যে, এই বিশেষ প্রজাতির হাঁস, ঝাঁকে ঝাঁকে আসে শীতকালে , কালে ভদ্রে কিছু রয়ে যায় , আর তাই দেখা পাওয়া গেলো। ছোট্ট বসন্ত বৌরি (Coppersmith Barbet) দূর এ গাছ এর ডাল এ বসে ছোট্ট বসন্ত বৌরি বিশ্রামরত। না, সে খুব খুশি মনে আমাদের দিকে চাইলো না। উদাস দৃষ্টি নিয়ে আমাদের ফ্রেমেবন্দি হলো। তিলা মুনিয়া (Scaly breasted Munia) তিলা মুনিয়া র ছোট্ট দলটা কাশফুল এর মধ্যে খেলায় মত্ত। নিলগলা ফিদ্দা (Blue throat) দূরে দেখা মিললো অতি চঞ্চল প্রকৃতির নিলগলা ফিদ্দা র। নীলগলা ফিদ্দা, অতি মনোহর ও চঞ্চল। গলার সজ্জিত নীলহলুদ বর্ণ মালা নিয়ে অতি গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে সাবধানবাণী দিলো , তার অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারীদের। নীলগলা ফিদ্দা র মোহে অনেক পক্ষীপ্রেমী ভিড় জমায় বিল এ , কিন্তু এই অতি মনোহর পাখিটি খুব সহজে ধরা দেয় না। বিল এর পাড়ে চলতে চলতে শোরগোল আর আগমনী র গান কানে এলো। নৌকা থেকে নেবে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম, পাটচাষী, মাঝি, সেজে হয়ে উঠেছে ঈশ্বরী পাটনী, আর তার নৌকায় মাতৃরূপে দেবী আসীন। একটি অপূর্ব নৃত্যনাট্য র দৃশ্যপট। মনে পরে গেলো কবি রায় গুনাকর ভারতচন্দ্রের সেই উক্তি: "অন্নপূর্ণা উত্তরিলা গাঙিনীর তীরে - পার করো বলে ডাকিল পাটনী রে "I সাজানো সেই দৃশ্যপট আমায় আকর্ষণ না করলেও ফ্রেমেবন্দি হয়েছে কিছু।"অন্নপূর্ণা উত্তরিলা গাঙিনীর তীরে - পার করো বলে ডাকিল পাটনী রে" (জলাভূমি এখন ভিডিও শ্যুট এর অন্যতম স্থান) ২০২২ প্রকৃতি তার ঋতুপর্যায় অনুযায়ী বিচিত্র বর্ণে সাজে আর মানুষের মনে রাঙায় সেই বিচিত্র রং। বর্ষা শেষে বিল এর রূপ বদলে যায়, হলুদ বর্ণের সর্ষে ক্ষেত্রে আর রবি ধান এর অংকুর জেগে ওঠে ভিজে মাটিতে। গভীরে দেখা যায় জল আর তার মাঝে পক্ষীকুল এর কলকাকলি , পুরাতন পাটকাঠি র মাথা, আর মৎস্যজীবীদের আনাগোনা। হারিয়ে যায় নীল বর্ণ র প্রলেপ, ভোরের কুয়াশা র মায়াবী রূপ গ্রাস করে একদা ব্যস্ত পাটচাষী দের পথ, খালি পরে থাকে শষ্যক্ষেত্র , নৌকার রং মলিন হয়, সোনালী বর্ণের পাকা ধান, আর তার সাথে তাল মিলিয়ে ফুল চাষী দের আনাগোনা শুরু হয়, সে আর এক অনন্য রূপ। আবার অপেক্ষা কবে আসবে বর্ষা, জেগে উঠবে জলাভূমি, রং এর প্রলেপ পর্বে নৌকায়, আবার জল এ ভাসবে শাপলা , দেখা পাওয়া যাবে শাপলার ঝাঁপি নিয়ে কৃষক রসিক পাল কে। [এই ছবিগল্পে যদি কিছু ভুল ত্রুটি হয়, মার্জনা করিবেন। ] কৃতজ্ঞতা স্বীকার: বর্তীর বিল এর সমগ্র অধিবাসী দের, ইন্দ্রনাথ মন্ডল ও তার পরিবার, রমেশ (নাম পরিবর্তিত), রসিক মিঞা। এই ছবি -গল্প আর জীববৈচিত্র র সন্ধান,তাদের ছাড়া সম্ভব হতো না। Camera: D- 5100, D-7200, Lens: 17-50 (Tamron) 18-400 (Tamron). বি: দ্রষ্টব্যঃ ছবিগুলি পিক্সেল সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু জায়গায়, ২৫ এম বি র মধ্যে রাখার জন্য। *সব ছবি লেখকের নিজস্ব |
ব্রতী, তোমার 'ছবি- গল্পে' মুগ্ধ হলাম। দারুণ উপস্থাপনা। পাখিদের দুনিয়ায় এক অসামান্য মানস সফর হলো।
উত্তরমুছুনপরবর্তীতে আরো এমন অনেক লেখা চাই ❤️
কি ভালো লাগল! ছবিগুলো কি অপূর্ব! সঙ্গে লেখাও। আরোও এমন লেখা পড়বার অপেক্ষায় থাকছি।
উত্তরমুছুন