মধ্যরাত, একজন কোভিড আক্রান্ত রোগী ও কিছু ভাসমান পি.পি.ই পরা অস্বচ্ছ অবয়ব
২০/১০/২০২০ শিপ্রা দে * ৩১ শে জুলাই আমার জন্মদিন। সবই ঠিকঠাক ছিল সেদিনও পর্যন্ত।আমারই এক বান্ধবী কলি ঐদিনই আমায় আমন্ত্রণ জানাল কালীঘাটের মন্দিরে যাবার। ওরা ঐ মন্দিরের সেবায়েত। এখন এই করোনার সময়ে বাইরের লোকেদের যাওয়া নিষেধ। শুধু সেবায়েত, যারা ভোগের আয়োজন করেন তারা এবং তাদের কিছু আত্মীয় পরিজন মায়ের দর্শন করতে পারে, ভোগ নিয়ে আসতে পারে। আনন্দে রাজি হলাম। মায়ের জন্য কিছু প্রণামী নিয়ে রওনা দিলাম। গাড়িতে টালিগঞ্জ থেকে কালীঘাট পনেরো মিনিটের রাস্তা, পৌঁছে গেলাম। মন্দিরের গর্ভগৃহ একদম ফাঁকা। মায়ের শরীরে হাত বুলিয়ে, শিবের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলাম। সমস্ত শরীর রোমাঞ্চিত – এমনকি এত রোমাঞ্চিত যে কোন প্রার্থনা করতেই ভুলে গেলাম। ভাবলাম ঠিকই আছে, মায়ের দর্শন পেয়েছি এটাই অনেক সৌভাগ্য। মন্দির দালান চত্বরে একটু বসলাম – হঠাৎ বৃষ্টি এলো ঝেঁপে, যতক্ষণ না বৃষ্টি থামে বসে গল্প করতে লাগলাম। দুপুর দু’টো বেজে গেল, মায়ের ভোগ গোছান হল, তারপর রওনা দিলাম। বৃষ্টি একটু কমেছিল, ততক্ষণে। ওমা! ভোগ নিয়ে রওনা হতেই মুষলধারে বৃষ্টি। মন্দির চত্বর থেকে মন্দির প্রাঙ্গণ, তারপর দোকানপাট পেরিয়ে তবে গাড়ি। চান করে গেলাম, নতু...