প্রাণহানিকর দুর্যোগ
১৯/১০/২০১৭
পুষ্পিতা দত্ত*
দুর্যোগ প্রকৃতির নিয়মে ঘটে থাকে। দুর্যোগ এমন এক ঘটনা যার প্রভাবে পৃথিবীর যে কোনো স্থান চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যেতে পারে। আমাদের সমাজে বিজ্ঞান উন্নত হওয়ায় দুর্যোগের গতিবিধি আমরা জানতে পারি কিন্তু তা আটকানোর কোনো ব্যাবস্থাই মানুষ করতে পারেনি আজও। এরকম দুর্যোগে বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কয়েকটি স্থান হল- কেরালা, উত্তরাখণ্ড, জাপান ও ওড়িষা। এছাড়াও অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন দুর্যোগে।
এরপর ১৯৯৯ সালে অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়সহ বৃষ্টি হয় ওড়িশায়। উত্তাল হয় সমুদ্র, প্রায় ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ধেয়ে আসে ঝড়। চোখের পলকে ধ্বংস হয় যায় সমস্ত কিছু। ভারতের সাথে সাথে বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড প্রভৃতি স্থানেও প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি হয়।
২০১১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে জাপানে নিমেষের মধ্যে নেমে আসে ঘূর্ণিঝড় টাইফুন যার জেরে আক্রান্ত হয় জাপান ও রাশিয়া। ১৫৫ কিমি / ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে থাকে। কত মানুষ মারা যায়, ধ্বংস হয়ে যায় পুরো স্থান। ২০,০০০ মানুষ মারা যায়।
এরপর ২০১৩ সালের জুন মাসে বন্যায় প্লাবিত হয় উত্তরাখণ্ড।এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভেসে যায় ৪,৫০০ টি গ্রাম। মারা যায় ৫,৭৪৮ জন মানুষ। ৭,৫০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয় বন্যার কবল থেকে।
![]() |
| উত্তরাখণ্ড |
২০১৮ সালে জুলাই মাসে বন্যায় বানভাসি হয় কেরালা। ভারতে সব থেকে সুন্দর ভ্রমণের স্থান হলো কেরালা। এই সুন্দর স্থানটির সমস্ত সৌন্দর্য কিছুক্ষনের মধ্যে নিঃশেষ করে বন্যার জল। মারা যায় ৪৮৩ জন, নিখোঁজ হয় ১৪ জন। ১০,২৮,০৭৩ জন মানুষকে সরকার থেকে ত্রান দেওয়া হয়। ১৯৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যায়।
![]() |
| বানভাসি কেরালা |
প্রাকৃতিক দূর্যোগ পৃথিবীর কাছে এক প্রকার অভিশাপ, যার প্রভাবে যে কোনো স্থান নিঃশেষ হয়।এবং এর থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রত্যেক মানুষকে সচেতন হতে হবে। গাছ কেটে ফেলা বন্ধ করতে হবে। পৃথিবীকে দূষণ মুক্ত করতে হবে তবেই পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। অকালে শেষ হবে না এত প্রাণ, ধ্বংস হবে না সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান।।
* সাম্মানিক প্রথম বর্ষ, ২০১৭



মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন