পায়ে পায়ে প্রাসাদ নগরী...

অর্পিতা মন্ডল, শরণ্যা সরকার, সোহিনী সেনগুপ্ত  

 


 




নিউ মার্কেট? নাহ, হগ সাহেবের মার্কেট।  ছোট থেকে সত্যজিৎ রায়ের ‘যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে’ পড়ে পড়ে মনের মধ্যে এই হগ সাহেবের মার্কেট থেকে ফেলুদার মত পেনের রিফিল থেকে শুরু করে ডালমুটের  দোকান, কিউরিও শপে ঘুরে বেড়ানোর একটা প্রবল ইচ্ছা হতো । মা বাবার মাঝখানে যখন ঘুড়ির মতো লাট খেতে খেতে ভিড় কাটিয়ে এগিয়ে যেতাম তখন খুব অবাক লাগতো , এই জায়গাটিতে ঠিক কি পাওয়া যায় না ? কি জবর জিনিস বানিয়েছিল সাহেবরা, আজ ও হাজার হাজার মানুষ রোজ এই চত্বরে থিকথিক করে। তো, কিভাবে এটি তৈরি হল? কে ছিলেন এই হগ সাহেব? 

ফিরে যাই সেই ১৮৫০এর দশকে, ব্রিটিশদের কোয়ার্টার ছিল তখন ডালহৌসি স্কোয়ারে, যা পরে আসতে আসতে বিস্তার করে চৌরঙ্গি, ধর্মতলা এই এলাকাগুলিতে। ভারতীয় এবং ইংরেজদের বাজার এলাকা বলতে তখন ছিল লালবাজার, টেরিটি । নেটিভ ভারতীয়দের সাথে বাজার করা, এক জায়গায় যাওয়া, এতে প্রবল অনিহা প্রকাশ করতে শুরু করে তারা, যার জেরে ১৮৭১ সালে ক্যালকাটা কর্পোরেশন একটি সম্পূর্ণ আলাদা বাজার শুধুমাত্র ইংরেজদের জন্যে বানানোর পরিকল্পনা শুরু করে। কলকাতার প্রথম মিউনিসিপাল মার্কেট। লিন্ডসে স্ট্রিটে জায়গা কিনে, সেখানে শুরু হয় এই ভিক্টোরিয়ান গথিক আকারে বাজার চত্বর বানানোর কাজ, যা গিয়ে শেষ হয় ১৮৭৪ সালের ১লা জানুয়ারী। এবং বলা বাহুল্য, এটি শুধুমাত্র ইংরেজদের জন্যই বানানো হয়েছিল,তাই ভারতীয়দের আগমন খুব একটা কাম্য ছিলনা এখানে। স্যার স্টুয়ার্ট হগ ছিলেন তখনকার ক্যালকাটা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, এবং তার এই নিউ মার্কেট বানানোর পিছনে অবদান কে মনে রেখে ২৮ বছর পর, ১৯০৩ সালে এই মার্কেটের নাম রাখা হয় ‘স্যার স্টুয়ার্ট হগ মার্কেট’, যা পরে বাঙ্গালিদের মুখে মুখে ‘হগ সাহেবের বাজার’ এ গিয়ে দাঁড়ায়।  

হগ সাহেবের বাজার

যাই হোক না কেন, ধন্যবাদ সেই হগ সাহেবকে, আজ তার জন্যে মানুষ নিশ্চিন্তে কম দামে জিনিস কিনতে এখানে ছোটে; তফাৎ একটাই, আগে ভারতীয় হলে এখানে ভেবে চিন্তে আসতে হত, আর এখন দরদাম না করতে পারা মানুষদের এখানে  ভেবে চিন্তে আসতে হয়।

এরপর জওহরলাল নেহরু রোড বরাবর হাঁটা শুরু করে গ্র্যান্ড হোটেল পেড়িয়ে এসপ্ল্যানেড বাস স্টপের সামনেই দেখা যায় রোদের আলোয় জ্বলজ্বল করছে ‘মেট্রোপলিটান বিল্ডিং’। ১৯০৫ সালে তৈরি এই স্থাপনটি নাকি ব্রিটিশদের জন্যে কেনাকাটার একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোর ছিল। ভাবা যায় আজকের দিনে ! এই স্থাপত্যর ধরনও বেশ অন্যরকম, যাকে বলা হয় ‘নিও বারোক আর্কিটেকচার’। ডোম আকারের ছাদ, নক্সা করা গোল জানলা, ঘড়ি হল এখানের বিশেষত্ব। যদিও ‘মেট্রোপলিটান বিল্ডিং’ নামটি এসেছে স্বাধীনতার পর, ওই নামক একটি বীমার সংস্থা বাড়িটি কিনে নিয়েছিল বলে। এখন এই স্থাপত্যর মালিকানা আছে এল আই সি, লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার হাতে, নামটি সেই একই থেকে গেছে। এই মেট্রোপলিটান বিল্ডিং এর ঠিক উলটোদিকেই আছে বিখ্যাত অনাদি কেবিন। 

মেট্রোপলিটান বিল্ডিং

মেট্রোপলিটান বিল্ডিং থেকে কিছুটা এগোলেই মেট্রো সিনেমা। এই মেট্রো সিনেমার প্রসঙ্গে বলি, ১৯৩৪ সালে, আমেরিকার বেভারলি হিলসের প্রযোজনা সংস্থা, এম জি এম, মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার কলকাতায় নিজেদের সিনেমা প্রচার করতে ধর্মতলায় এই হলটি তৈরি করে; কলকাতার  বিশাল সংখ্যক ইংরেজদের কথা মাথায় রেখে। যদিও এখন এখানে অনেক বদল আনা হচ্ছে, সেই আগের ইউনিপ্লেক্স হল আর নেই।

মেট্রো সিনেমা

ধর্মতলা ক্রসিং থেকে টিপু সুলতান মাসজিদের উলটো দিকে কে সি দাসের দোকান লাগোয়া রাস্তা, যাকে বলা হয় এসপ্ল্যানেড ইস্ট রো, এখানে দেখতে পাওয়া যায় একটি বহু পুরনো নিও ক্লাসিকাল স্থাপত্য। এখন একটি কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস হলেও আগে এইখানেই ছিল ন্যাশনাল লাইব্রেরির নিউজপেপার রিডিং রুম। ১৯০৯ সালে তৈরি এই সি জি এইচ এস হেড অফিস, কলকাতা, এখন আনেক অফিসের আস্তানা। তার পাশেই আছে ডেকার্স লেন, যার আরেক নাম জেমস হিকি সরণি। হ্যাঁ সেই ডেকার্স লেন, যা হল নিত্যদিনের অফিসকর্মীদের একটি অন্যতম খাওয়ার জায়গা। এখানের ‘চিত্তবাবুর দোকান’ এর চিকেন স্ট্যুর জন্যে ভিড় জমে থাকে সকাল থেকে। সে এক অদ্ভুত সুন্দর জায়গা, সব্বাই ব্যস্ত, কেউ খেতে, আর কেউ খেতে দিতে, তার ফাঁকে ফাঁকে মা ষষ্টীর বাহন ব্যাস্ত মাটিতে পড়ে থাকা নানা রকমের সুখাদ্য ভক্ষন করতে। এই ডেকার্স লেনের সঙ্গেও কিন্তু জড়িয়ে আছে এক ফালি ইতিহাস। আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে, ফিলিপ মাইনার ডেকার্স নামক এক সাহেব ছিলেন কলকাতার কালেক্টর, যিনি ওই চত্বরে নাবিকদের সাথে দেখা করতে এবং নানা রকমের খাওয়াদাওয়া করতে যেতেন। তার নাম থেকেই ডেকার্স লেন নামটি আসে। আর অন্য নামটি, জেমস হিকির কথা কে না জানে। বলা হয় যে ভারতে প্রথম ইংরেজি খবরের কাগজ শুরু করেন হিকি সাহেব, যার নাম ‘দি বেঙ্গল গেজেট’।  

                                                       

সি জি এইচ এস হেড অফিস

এসপ্ল্যানেড রো বরাবর এগিয়ে এলে, রাস্তার ঠিক উপরে মার্ক্স এঙ্গেলস বীথি ক্রসিং এ চোখে পড়ে বিশাল একটি স্থাপত্য, ‘এসপ্ল্যানেড ম্যানসনস’ ।  কি সুন্দর তার নক্সা, গোল এগিয়ে আসা বারান্দা, ‘আর্ট নুভ আর্কিটেকচার’ ধাঁচে তৈরি এই বাড়ি নাকি ১৯১০ সালে একজন ইহুদি ব্যাবসায়ির দ্বারা নির্মিত।  আগে ছিল সম্পূর্ণ ভাবে বসবাসের জন্যে, এখন যদিও এই স্থাপনেরও মালিকানা এল আই সি, লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার হাতে। এল আই সির হাতে কলকাতার প্রচুর এরকম স্থাপত্যের মালিকানা আছে, এসপ্ল্যানেডেই কম করে ৩০টি। এখন এখানে নানান সরকারি অফিস খোলা হয়েছে। যেকোনো হাওড়াগামী বাসে উঠলেই রাজভবন এর সামনে দিয়ে এই এসপ্ল্যানেড ম্যানসনস এর সামনে দিয়ে নিয়ে চলে।  

এসপ্ল্যানেড ম্যানসনস

রাস্তা পেরলেই তো রাজভবন। ছোটবেলায় রাজভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া মানেই ছিল ঘাড় নিচু করে বাসের জানলা দিয়ে রাজভবনের গেটের উপরের সিংহটি কে দেখা। কি প্রকাণ্ড গেট, কি সুন্দর দেখতে এই জায়গাতে আমাদের রাজ্যপাল থাকেন। সাধেই আমাদের কলকাতাকে ‘সিটি অফ প্যালেসেস’বলা হয়! ১৮০৩ সালে এই রাজভবন তৈরি হয়, তখনকার দিনে খরচ হয়েছিল ১৩ লক্ষ টাকা। আজকের দিনে একটা ফ্ল্যাটবাড়িও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ এই দামে। ১৭৯৯ এর ভারতের গভরনর জেনারেল, লর্ড ওয়েলেসলি এই রাজভবনের নির্মাণের দায়িত্ব নেন। যদিও ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি ওয়েলেসলির কাজে কম্পানির টাকার অপব্যাবহারের দায়ে তাকে ইংল্যান্ডে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।  যাই করুক, এতো সুন্দর একটি জিনিস কলকাতার বুকে বানানোর জন্যে তার অবদান অনস্বীকার্য। যদিও তা নিজেদেরই জন্যে বানিয়েছিল, নেটিভদের জন্যে তো আর প্রাসাদ বানাতে বসেনি। স্বাধীনতার আগে এর নাম ছিল ‘গভর্নমেন্ট হাউস’; ব্রিটিশ রাজতন্ত্র যখন আমাদের দেশের ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়, তখন এই রাজভবন হয়ে ওঠে ভারতের ‘ভাইসরয়’ বা রাজপ্রতিনিধির থাকার জায়গা। আরেকটি তথ্য জড়িয়ে এই রাজভবনের সাথে, ভারতে প্রথম এলিভেটর এখানে বসানো হয়েছিল, ১৮৯২ সালে। 

রাজভবনের প্রবেশ দ্বার 

মেন রোড বরাবর বিবাদী বাগের দিকে সোজা যেতেই , রাস্তার একপাশে দেখতে পাওয়া যায় কারেন্সি বিল্ডিং। এখানে এসেই বোঝা যায় যে অন্য একটা জায়গায় এসে পড়েছি, যেদিকে তাকাই সেদিকেই অফিস। সবাই ব্যাস্ত। বহু পুরনো বাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি কাজ বুকে নিয়ে, তার নিচে নানান ছোট ছোট দোকান, কেউ বাড়িগুলোর দেওয়ালে সাজিয়ে বই বিক্রি করছে, পাস দিয়ে ধুলো উড়িয়ে বাস ছুটে যাচ্ছে, হাওয়ায় উড়ছে ম্যাক্সিম গোর্কির পাতা, আরেকদিকে সার দিয়ে খাবারের দোকান। যাইহোক, কারেন্সি বিল্ডিংএর প্রসঙ্গে আসি, ১৮৩৩ সালে তৈরি এই স্থাপনটি ‘আগ্রা ব্যাংক’ এর কলকাতার শাখা ছিল। ১৮৬৮ সালে এটি ব্রিটিশ রাজের অধীনে মানি এক্সচেঞ্জ, অর্থাৎ মুদ্রা বিনিময়ের একটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ‘ইটালিয়ানেট’ ধাঁচে তৈরি এই ৩ তলা বাড়ি এখন একটি মিউজিয়াম।



কারেন্সি বিল্ডিং এবং অন্যান্য স্থাপত্য


রাস্তার উলটোদিকেই বিবাদী বাগ স্ট্রিট ধরে পর পর সব অফিস, সাব পোস্ট অফিস, টেলিগ্রাম অফিস, টেলিফোন ভবন, বি এস এন এল টেলিকম অফিস, আরও কতো কি। প্রত্যেকটি বাড়ি বহু পুরনো, দেওয়ালে দেওয়ালে জড়িয়ে আছে ইতিহাস।  

এতো ব্রিটিশ স্থাপত্য নিয়ে কথা হচ্ছে, রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণ নিয়ে না বলা তো ঘোর অপরাধ হবে। লালদিঘি ঘিরে টানা লম্বা লাল স্থাপত্যটি ইতিহাসের কতকিছুরই না সাক্ষী থেকেছে। কলিকাতা, সুতানুটি, এবং গোবিন্দপুর থেকে আজকের কলকাতা হয়ে ওঠা থেকে শুরু করে বিনয়,বাদল,দীনেশের গল্প, সবই এই রাইটার্স বিল্ডিং ঘিরে।  

রাইটার্স বিল্ডিং

‘রাইটার্স’ নামটি কোথা থেকে এলো? ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পনির যারা ইউরোপীও কেরানী ছিল তাদের রাইটার্স বলা হতো, তাদের যেহেতু কাজই ছিল সারাদিন লেখালিখি করা, সেই থেকে এই নাম। ১৭৭৭ সালে টমাস লিওন এই রাইটার্স বিল্ডিং বানানো শুরু করে, যা শেষ হয় ১৭৮০ সালে। কলকাতার প্রথম ৩ তলা স্থাপত্য হল এই রাইটার্স বিল্ডিং। স্বাধীনতা থেকে ২০১১ অবধি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস হিসাবে ব্যাবহার করার পর, বিশেষ করে দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে বাম আমলের পর, ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস অস্থায়ী ভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার একটি বহুতলে, যাকে আমরা এখন ‘নবান্ন’ বলে জানি। 

                        

রাইটার্স বিল্ডিং

রাইটারস বিল্ডিং থেকে এগোলেই দেখতে পাওয়া যায়ে জি পি ও, জেনারাল পোস্ট অফিস। এই জি পি ও র সাথে জড়িয়ে আছে আরও এক প্রাচীন ইতিহাস, জি পি ও যেখানে অবস্থিত, সেখানে ছিল আগের পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম। এই পোস্ট অফিস এর পাশেই এক গলিতে হয়েছিল ব্ল্যাক হোল হত্যাকান্ড, বা অন্ধকূপ হত্যাকান্ড, যেখানে বলা হয় নবাব সিরাজদ্দৌলা এই ফোর্ট উইলিয়ামের একটি ছোট ঘরে ১৪৬ ইংরেজ সৈন্যদের শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছিল। জি পি ও র ভেতরে একটি পিতলের প্লেট দেখা যায়, যেটি আসলে পুরনো ফোর্ট উইলিয়ামের পূর্বদিকের সীমানাকে চিহ্নিত করে। বলা হয় যে পুরনো ফোর্ট উইলিয়ামের অবশিষ্ট বলতে ওই পিতলের প্লেটটি ই আছে।  

জি পি ও

কলকাতা, তথা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে সেই ইউরোপিয়ান শাসনের নানা রকমের নিদর্শন। গঙ্গার এপার থেকে ওপার, ব্যারাকপুরের ব্রিটিশদের সামরিক উপনিবেশ, চন্দননগর শ্রীরামপুরের ফরাসি এবং ডাচ উপনিবেশ, সবকিছুই যেন জালের মতো একে অপরের সাথে জড়িত। একটা টেনে তুলতেই বাকি গল্প মাথা তুলে ওঠে। কলকাতার বুকেই এতোকিছু, প্রাচীন ইতিহাস বহন করে দাড়িয়ে আছে, আমরা রোজ সেগুলির সামনে দিয়ে আসছি ,যাচ্ছি ,ছুটছি, কিন্তু দাঁড়িয়ে দেখার কারোর সময় নেই। এই লেখার মধ্যে দিয়ে কিছু অতি পরিচিত জায়গার কথা, ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা অনেকটা সমুদ্রের সামনে এক বিন্দু জলের সমান।

*ছাত্রী, ৫ম অর্ধবর্ষ 

মন্তব্যসমূহ

  1. চেনা কলকাতাকে অন্য ভাবে দেখলাম। খুব ভালো লিখেছিস তোরা। আরও এগিয়ে যা।

    উত্তরমুছুন
  2. পড়ে খুব ভালো লাগলো, অনেককিছু জানতে পারলাম

    উত্তরমুছুন
  3. খুব ভালো লেখা হয়েছে

    উত্তরমুছুন
  4. অনবদ্য একটি প্রতিবেদন। তথ্যসমৃদ্ধ এই লেখার মধ্যে সযত্ন সুন্দর শৈলী এক অন্য মাত্রা দিয়েছে 👍

    উত্তরমুছুন
  5. খুব ভালো লাগল। তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।

    উত্তরমুছুন
  6. আমার মতন প্রবাসীর কাছে প্রয়ওজন আছে জানার। রঞ্জন ,ব্যাঙ্গালোর

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

এঞ্জেলবার্গের তিনটি দিন

সময়