জীবন নদী ও অল ইজ নট ওয়েল
জীবন যেন উৎস-মোহনায় মেলা এক নদী
তিনটি স্রোতের ধারায় ভরাপুরা এক শক্তি
স্নেহ ভালোবাসায় খাঁটি পুরাতন বুনিয়াদি
সুখ দুঃখ হাসিখুশির জোয়ার ভাটায় ভরতি
প্রথম স্রোতেই কলকল ঝরনা হাসি বহতা খুশি
খেলাধুলা সুখরাশি আদরের স্রোতে ভাসাভাসি
খুনসুটি আর ঝগড়াভরা স্মৃতির পটে পাশাপাশি
পরশছোঁয়া বুকটি, ভরা আজো মিষ্টি, হয়নি বাসি।
বয়স ছিল পাহাড়ে ভালোবাসার হরেক রকমফেরে
জলপ্রপাত, গিরিপথের, উপত্যকার কন্দরে কন্দরে
সরলতায় অন্তর্লীন জটিলতা থেকে অনেক দূরে
অনুরাগ আর অনুভবের গভীরে অন্তরে অন্তরে
মা বাবা ভাইবোনের তরে বইত যেন ভীষণ তোড়ে।
বয়স বাড়ে বন্ধূ উপনদী জল নিয়ে এলো ভরে
মালভূমিতে নদীর বেগে ভাসে মনের আবেগেরে
ঘুরে বেড়ায় যেথাখুশি তারুন্যের দীপ্ত অহংকারে
অনমনীয় মনটি ছোঁয়ায় সুন্দর সবুজ সৌন্দর্যেরে
একটু গতি বাড়াতে গিয়ে হাত বাড়িয়ে বয়স ধরো
কোথা থেকে কোথা এলাম আমি আজ অনেক বড়
সংসারে চলতে চলতে হলাম না হয় একটু ঝড়ো
কখনো ভয়ে জড়োসড়ো কখন আনন্দে আরো আরো
নদীর গতি কমে গেছে পৌঁছেছে সে আজ সমতলে
পথ হারিয়ে এঁকেবেঁকে চলেছে এ কোন বনতলে!
মিষ্টি নদী হারিয়ে যাবে মিশবে সমুদ্রের নোনাজলে
পরমাত্মায় লীন হয়ে আনন্দের আহ্বান বয়সকালে
ভালোবাসার জলে বালি সবই এখন খালি খালি
ছোট্ট নদী হারিয়ে গেলি মহাকালের হাত ধরলি
স্মৃতির সমৃদ্ধতায় ভরে থাকবে ভালোবাসার বুলি
সব বিলিয়ে রবে কেবল নোনাজলে সোনালী বালি।
।।২।।
" অল ইজ ওয়েল! " আসলে অল ইজ বয়েলড
কনসোন্যান্ট নয় জীবনের ভাওয়েল।
কোভিড ১৯ করোনার সীমারেখা
মাস্ক, টুপি, হ্যান্ডগ্লাভসে আটকে রাখা।
আগে পিছে এর নেই কোনো সীমা---
জীবনজড়ানো এ কোন প্রাণঘাতী নিঃস্তব্ধ বোমা?
লকডাউনে মন প্রাণ হয়েছে জেরবার
মৃত্যু ভয়ে জীবন-জীবিকা আরবার।
থালা বাজিয়ে মনে বুঝিবা আনন্দ পেলো
অলো নিভিয়ে অন্ধকারে জ্বেলিছি দীপের আলো।
মন বলেছে ওয়েট আন্ড ওয়াচ সবকিছু ভালো
করোনার বিষের কালোয় আগুন জ্বালো।
১২৩ করে একক-দশক-শতক ছেড়ে লক্ষ
সাধারণ-অসাধারণ কাঁপে দুরু দুরু বক্ষ।
আর কতদিন আর কতদিন কৌতূহলে!
ভয়ে, ভয়ে দহন জ্বালায় পুড়ে জ্বলে?
মরণ মিছিলে আজ ছারখার শ্যামল ধরাতল
দলাদলিতে চরম দৈন্যে পরিযায়ী দল।
সব পেয়েছির জয়গাঁথার দেশে----
নিঃশ্বাসে বিষ পদে পদে মেশে।
রেশনে চাল ডাল দিচ্ছে ভরসা
অনাহারে থাকবে না কেউ ছোট্ট এতটুকু আশা।
চাল পাওয়ার জন্য কুপন সংগ্রহের বৃথাই চেষ্টা
৬ মাস পার করে দেওয়ার চলছে প্রচেষ্টা।
শিল্প, বাণিজ্যে ভীষণভাবে বিপর্যয়---
কর্মীরা সব কাজ হারিয়ে বেকার বাড়ায়।
এখন প্রশ্ন এই যে আমাদের বিপত্তি!!
তা কি অতিমারীর সম্পত্তি?
অর্থনীতি প্রচণ্ডভাবে হচ্ছে বিপর্যস্ত---
অগণিত নাগরিক হয়েছে কর্মচ্যূত।
কৃষি, শিল্প উন্নয়নের নতুন ভাবনা
নতুন ভিত্তিতে ভবিষ্যৎরূপে আনা।
অর্থনীতির উন্নয়ন মানে কি শুধুই আত্মনির্ভর জাতীয়তাবাদী?
বৈধ নাকি অবৈধ বিরুদ্ধবাদী!!
দেশাত্মবোধের সূচকে অর্থনীতি!!!
দেশদ্রোহীর ঠাঁইনাড়া সে গীতি।
তাই "অল ইজ ওয়েল" হাঁকডাক---
হৃদয়ের নাই বা সাড়া পাক।
সর্বস্বান্ত করে বিপদ ডাকুক
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাজুক বা না বাজুক----
দেশের মানুষের মনে আশা জাগিয়ে
নতুন উন্নয়নের স্বপ্ন বানিয়ে
"অল ইজ ওয়েল " অথবা নট ওয়েল---
পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি উইদাউট ফেল।
Kobitaay bhabna r chamatkar prokash..bhalo laaglo..
উত্তরমুছুন